২০০২ সালের আগ পর্যন্ত বিশ্বের ট্রপিক্যাল এলাকাগুলো মূলত বিচ্ছিন্নভাবে চিকুনগুনিয়ার আউটব্র্যাক হয়েছে। সেগুলো তেমন ভয়াবহ ছিল না। আগে এডিস এজিপ্টাই (গৃহ-পালিত) প্রজাতির মশার মাধ্যমে বাহিত হয়েছে। চিকুগুনিয়া ভাইরাসের মিউটেশনের কারনে এই ভাইরাসটি এডিস এলবোপিক্টাস প্রজাতির মশাতে এডাপ্ট করেছে। ২০০২ সালের পর থেকে যত পাওয়াফুল আউটব্র্যাক হয়েছে এর মূলে রয়েছে এই প্রজাতির মশাটি। এরা সাধারনত বাসার বাইরে (গাছের গর্তে, টায়ার, ডাবের খোলস, প্লাস্টিক কন্টেইনার ইত্যাদি) ব্রিড করে। এটির কারনে ২০০৬ সালে সাউথ ইন্ডিয়াতে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত হয়। পাবলিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল। আমাদের দেশে ২০০৩ সালে শক্তিশালী ডেংগু আউটব্র্যাকের মূলেও এডিস এলবোপিক্টাস দায়ী। আমার বিশ্বাস এবারের এপিডেমিক বা আউটব্র্যাকে মূলে এই মশাটি দায়ী।
অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল হেলথ সিস্টেমের কারনে যেকোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য এধরনের আউটব্র্যাক বা মহামারী কন্ট্রোল করা অনেক দুরুহ ব্যাপার। তাই শুধু শুধু সরকারকে দোষারূপ করে লাভ নেই। এটি অনেক বছরের আমাদের দুর্বল সিস্টেমের কনসিকুয়েন্স। তাছাড়া আমরা এখনো সুনাগরিক হতে পারিনি। যেখানে-সেখানে ময়লা/প্লাস্টিক বোতল ফেলে দেই। চিন্তাও করি না আমরা পরিবেশসহ অনেক নিরীহ মানুষের ক্ষতি করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এধরনের প্র্যাক্টিসকে ক্রাইম বলে থাকি।
আমাদের রিসার্চে উদ্দেশ্যে হচ্ছে ভবিষ্যতে এধরনের আউটব্র্যাক হলে (আগামী সিজন বা বছরেও সম্ভবত চিকুনগুনিয়ার আউটরব্যাক হবে) কিভাবে ভালভাবে ম্যানেজ (ক্লিনিক্যাল) করা যায় সে বিষয়ে কণ্ট্রিবিউট করা। চিকুনগুনিয়া পরবর্তী ব্যথা এবং এই রিলেটেড কমপ্লিকেশন জীবনকে দুর্বিষহ করে দেয়। যার ভুক্তভোগী আমিসহ আমার বাসার তিনজন। তিন সপ্তাহ আগে আমার মেয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। মাঝে ভাল হয়ে যায়।কিন্তু গত দুদিন ধরে ফাতিমা আবার বেশ কাহিল হয়ে গেছে। গতকাল স্কুলে যেতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদী কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যাতে আমাদের দেশে ক্লিনিসিয়ানরা ভালমত রোগীকে ম্যানেজ করতে পারেন।
আমাদের রিসার্চের মাধ্যমে কতজন এই রোগে আক্রান্ত তা জানা যাবে না। ডিজিজ প্রিভেলেন্স আমাদের ফোকাস নয়। এই কাজটি মূলত দেশের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের কাজ। আইসিসিডিডিআরবি ইতিমধ্যে ফোন সার্ভে করেছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল হেলথ সিস্টেমের কারনে যেকোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য এধরনের আউটব্র্যাক বা মহামারী কন্ট্রোল করা অনেক দুরুহ ব্যাপার। তাই শুধু শুধু সরকারকে দোষারূপ করে লাভ নেই। এটি অনেক বছরের আমাদের দুর্বল সিস্টেমের কনসিকুয়েন্স। তাছাড়া আমরা এখনো সুনাগরিক হতে পারিনি। যেখানে-সেখানে ময়লা/প্লাস্টিক বোতল ফেলে দেই। চিন্তাও করি না আমরা পরিবেশসহ অনেক নিরীহ মানুষের ক্ষতি করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এধরনের প্র্যাক্টিসকে ক্রাইম বলে থাকি।
আমাদের রিসার্চে উদ্দেশ্যে হচ্ছে ভবিষ্যতে এধরনের আউটব্র্যাক হলে (আগামী সিজন বা বছরেও সম্ভবত চিকুনগুনিয়ার আউটরব্যাক হবে) কিভাবে ভালভাবে ম্যানেজ (ক্লিনিক্যাল) করা যায় সে বিষয়ে কণ্ট্রিবিউট করা। চিকুনগুনিয়া পরবর্তী ব্যথা এবং এই রিলেটেড কমপ্লিকেশন জীবনকে দুর্বিষহ করে দেয়। যার ভুক্তভোগী আমিসহ আমার বাসার তিনজন। তিন সপ্তাহ আগে আমার মেয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। মাঝে ভাল হয়ে যায়।কিন্তু গত দুদিন ধরে ফাতিমা আবার বেশ কাহিল হয়ে গেছে। গতকাল স্কুলে যেতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদী কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যাতে আমাদের দেশে ক্লিনিসিয়ানরা ভালমত রোগীকে ম্যানেজ করতে পারেন।
আমাদের রিসার্চের মাধ্যমে কতজন এই রোগে আক্রান্ত তা জানা যাবে না। ডিজিজ প্রিভেলেন্স আমাদের ফোকাস নয়। এই কাজটি মূলত দেশের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের কাজ। আইসিসিডিডিআরবি ইতিমধ্যে ফোন সার্ভে করেছে।
Comments