Skip to main content

চিকুনগুনিয়া রিসার্চঃ প্রসংগ আগামী দিনের রিসার্চার

চিকুনগুনিয়া রিসার্চ প্রজেক্টের রিসার্স এসিস্টেন্ট পজিশনের জন্য সিভি রিভিউ করলাম। ফিমেল ক্যান্ডিডেট তুলনামূলকভাবে বেশী এপ্লাই করেছে। তাদের একাডেমিক রেজাল্টও ভাল। আনন্দ লাগে যখন দেখি যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বেশ কিছু প্রাক্তন স্টুডেন্ট এপ্লাই করেছে। সেখানে থাকতে ক্লাসের একটি অংশ থাকত রিসার্চে মটিভেইটমূলক আলোচনা। আইইউবি'তেও রিসার্চ নিয়ে ক্লাসে অনেক ডিসকাস করে থাকি। রিসার্চ করা কেন দরকার তা রিয়েল লাইফের স্টোরি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা থাকে। আইইউবি'তে আমার ক্লাসের বেশ কিছু স্টুডেন্ট চিকুনগুনিয়া প্রজেক্টে অংশ নিতে আগ্রহী।

টোটাল সিভি পড়েছে ৬০ টির মত। এদের মধ্য থেকে হয়ত বেশ কয়েকজন ভালমানের বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো নির্ভর করবে ডেডিকেশন এবং ধৈর্য্যের উপর। আমরা তাদেরকে অনেকদূর পর্যন্ত গাইড করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ওভারঅল টিমে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি ফিল্ডের বেশ ভালমানের বিজ্ঞানী রয়েছেন। আগ্রহী এবং ডেডিকেটেড স্টুডেন্টরা চাইলে অনেক ধরনের স্কিল অর্জন করতে পারবে। এরা পিএইচডি করে দেশে ফিরলে তারা যেন সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্যও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। দেশ-সমাজ পরিবর্তন করতে বেশী মানুষের প্রয়োজন নেই। আর মেধা থাকলেই শুধু হবে না; ভাল মনের মানুষ হওয়াটা বেশী জরুরী।

Comments

Popular posts from this blog

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (BRF) এর চিকুনগুনিয়া রিসার্চ ফোকাস

২০০২ সালের আগ পর্যন্ত বিশ্বের ট্রপিক্যাল এলাকাগুলো মূলত বিচ্ছিন্নভাবে চিকুনগুনিয়ার আউটব্র্যাক হয়েছে। সেগুলো তেমন ভয়াবহ ছিল না। আগে এডিস এজিপ্টাই (গৃহ-পালিত) প্রজাতির মশার মাধ্যমে বাহিত হয়েছে। চিকুগুনিয়া ভাইরাসের মিউটেশনের কারনে এই ভাইরাসটি এডিস এলবোপিক্টাস প্রজাতির মশাতে এডাপ্ট করেছে। ২০০২ সালের পর থেকে যত পাওয়াফুল আউটব্র্যাক হয়েছে এর মূলে রয়েছে এই প্রজাতির মশাটি। এরা সাধারনত বাসার বাইরে (গাছের গর্তে, টায়ার, ডাবের খোলস, প্লাস্টিক কন্টেইনার ইত্যাদি) ব্রিড করে। এটির কারনে ২০০৬ সালে সাউথ ইন্ডিয়াতে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ সংক্রামিত হয়। পাবলিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল। আমাদের দেশে ২০০৩ সালে শক্তিশালী ডেংগু আউটব্র্যাকের মূলেও এডিস এলবোপিক্টাস দায়ী। আমার বিশ্বাস এবারের এপিডেমিক বা আউটব্র্যাকে মূলে এই মশাটি দায়ী। অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল হেলথ সিস্টেমের কারনে যেকোন উন্নয়নশীল দেশের জন্য এধরনের আউটব্র্যাক বা মহামারী কন্ট্রোল করা অনেক দুরুহ ব্যাপার। তাই শুধু শুধু সরকারকে দোষারূপ করে লাভ নেই। এটি অনেক বছরের আমাদের দুর্বল সিস্টেমের কনসিকুয়েন্স। তাছাড়া আমরা এখনো সুনাগরিক হতে পারিনি। যেখানে-সেখানে ময়ল

চিকুনগুনিয়া রিসার্চ টিম

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অবস্থায় হঠাৎ করে এই প্রজেক্টটির উদ্যোগ নেয়া হয়। ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া অবস্থায় ফেইসবুক এবং ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে রিসার্চারদের স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে এগিয়ে আসে বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন। আমাদের রিসার্চ ফোকাস হচ্ছে চিকুনগুনিয়া রোগ-পরবর্তী ম্যানেজমেন্ট। চিকুনগুনিয়া রিসার্চ টিমে অংশ নিচ্ছেন দেশে এবং বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ডাক্তার এবং গবেষকবৃন্দ। কোর রিসার্চ টিমের সদস্যরা হচ্ছেন - Principal Investigators Mohammad Sorowar Hossain PhD, Adjunct Scientist, Biomedical Research Foundation, Bangladesh and Assistant Professor, School of Environmental Science, Independent University, Bangladesh (IUB) Enayetur Raheem PhD, Adjunct Scientist, Biomedical Research Foundation, Bangladesh and Data Scientist at Carolinas HealthCare System, North Carolina, USA Co-Principal Investigators Salequl Islam PhD, Associate Professor, Dept of Microbiology, Jahangirnagar University and Adjunct Scientist, Biomedical Resear